যুদ্ধাবস্থায় ক্রমশ খারাপ দিকে এগোচ্ছে ইউক্রেনের পরিস্থিতি। কিয়েভের অনেকগুলি জায়গা রাশিয়ান বোমা বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত। জানা যাচ্ছে ইউক্রেনের একটি শহরও চলে গিয়েছে রাশিয়ার দখলে।
রাষ্ট্রসংঘে পর্যালোচনা চলাকালীনই অন্যান্য দেশের মতামতের তোয়াক্কা না করেই অতর্কিতে ইউক্রেনে হামলা করেছে রাশিয়া। পরিস্থিতি দ্রুত আয়ত্তে না এলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সম্ভাবনাও দেখছেন অনেকে। আমেরিকান নেতৃত্বে ‘ন্যাটো’-র অন্তর্ভুক্ত দেশগুলি ইউক্রেনকে সাহায্যের আশ্বাস দিলেও সরাসরি যুদ্ধে তাদের অবস্থান স্বচ্ছ করেনি। এই অবস্থায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি শান্তিকামী ভারতের প্রধানমন্ত্রীকেই ফোন করে ইউক্রেনের ভয়াবহ পরিস্থিতি বর্ণনা করে পরামর্শ চান।
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষে রাষ্ট্রসংঘে ভারতের সাম্প্রতিক অবস্থানের প্রশংসা করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি। পাশাপাশি ইউক্রেনের জন্য গভীর উদ্বেগ ব্যক্ত করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একই সঙ্গে দুই দেশের প্রতিই তাঁর বার্তা — যুদ্ধ থামিয়ে আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা করা হোক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইউক্রেনে অবস্থানকারী ভারতীয় ছাত্রদের নিরাপত্তার বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
খবরসূত্র অনুযায়ী, ইউক্রেনের ৮০০টি জায়গায় আক্রমণ চালিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের ২০টা কামান্ড পোস্ট, ৪৮টি রেডার স্টেশন, ১৪টি বিমানঘাঁটি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। জায়গায় জায়গায় খাবার ও জলের অভাব দেখা দিয়েছে, বিদ্যুৎব্যবস্থাও ছিন্নপ্রায়।
অপরপক্ষে ইউক্রেনের প্রতিরোধ বাহিনীও ইতিমধ্যেই ৩ হাজারের বেশি রুশ সেনাদের খতম করতে পেরেছে বলেই দাবি করা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি ইউক্রেনের বিপক্ষেই চলে যাচ্ছে সমানে। আমেরিকা আশ্বাস দিলেও রাশিয়ার সাথে সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিতে একরকম অস্বীকারই করেছেন বাইডেন। এদিকে আক্রমণকারী রাশিয়া উল্টে ইউক্রেনকেই প্রতিরোধ করতে নিষেধ করছে প্রকাশ্যেই। রাশিয়ার শর্ত, প্রতিরোধ না করলে তবেই আলোচনায় বসা সম্ভব, নাহলে নয়। ইউক্রেনের পরিস্থিতি ক্রমশ জটিলতর হয়ে উঠছে।