“ভারতে এইমূহুর্তে দুধরনের রাজনীতি চলছে। একদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়নমূলক রাজনীতি, উল্টোদিকে বিরোধীদের নিম্নমানের রাজনীতি।” দাবি করলেন বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা।
তিনি বিরোধীদের উদ্দেশ্যে একটি ৩ পাতা বিস্তারিত খোলা চিঠি লিখেছেন। সেখানেই বক্তব্যে ধরাশায়ী করতে চেয়েছেন দেশের সমস্ত বিরোধী দলগুলিকে। তাতে যেমন বাংলার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ আছড়ে পড়েছে, তেমনই সারাদেশে কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধী দলগুলির প্রতি উঠেছে তীক্ষ্ণ অভিযোগ। সিপিএম, কংগ্রেস, তৃণমূল, এনসিপি, ডিএমকে বাদ যায়নি কোনও দল।
‘দেশের আত্মায় আঘাত হানছে বিরোধীরা।’ কার্যত এভাবেই বিজেপির উন্নয়নমূলক রাজনীতিকে ভারতের প্রাণ বলে চিহ্নিত করে বিরোধীদের রাজনীতিকে সংকীর্ণ প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করেছেন বিজেপির সর্বোচ্চ দলীয় প্রধান। এই চিঠিটি পক্ষান্তরে একটি জবাবী চিঠি যাতে বিজেপিই শ্রেষ্ঠ এবং বিরোধী দলগুলির রাজনীতি নীচূ স্তরের এমন মনোভাবই বিবৃত হয়েছে।
শনিবার রামনবমীর মিছিল ঘিরে সারা দেশে উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সনিয়া গান্ধী সহ মোট ১৩ জন রাজনৈতিক নেতানেত্রী দেশের জনগণের উদ্দেশ্যে একটি ‘খোলা চিঠি’ লিখেছিলেন। তাতে দেশজুড়ে বিভেদের রাজনীতি ও প্রধানমন্ত্রীর নীরবতার উল্লেখ ছিল। জে পি নাড্ডার এই চিঠি হলো তারই জবাব। এই চিঠিতে বিরোধীদের অভিযোগ খন্ডন করে নাড্ডা উল্টে দাবি করেছেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকাকালীন এর চেয়েও বেশি সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছিল। প্রসঙ্গত ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধীর প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন কোন কোন জায়গায় সাম্প্রদায়িক ঝামেলা হয়েছে তার দৃষ্টান্ত দিয়েছেন। সনিয়া গান্ধীকেও ছাড় দেননি তিনি। পাশাপাশি কেরলে সিপিআইএমকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে বিজেপি কর্মীদের খুনের অভিযোগে তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ সবই করেছেন বিজেপির দলীয় সভাপতি।
অপরদিকে বিজেপি দলকে ক্লিনচিট দিয়ে নাড্ডার বক্তব্য, “নরেন্দ্র মোদী সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস, সবকা প্রয়াসের নীতি প্রয়োগ করে ভারতের উন্নতিকে ত্বরান্বিত করছেন। আর তাতেই বিরোধীরা হতাশ বোধ করছে।” তবে জে পি নাড্ডার এই চিঠিতে বিরোধীদের এককথায় নস্যাৎ করার সাথে আরো একটি ব্যাপার লক্ষ্যণীয় –দেশের বিজেপি বিরোধী জোট যে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে সেসম্পর্কে গুরুত্ব না দিয়ে বিজেপির আর উপায় নেই।