বাঘকে বাগ মানানো সহজ ব্যাপার নয়। যেমন তাদের বোঝানো কঠিন সীমান্ত টপকানোর বিধিনিষেধ সম্পর্কে। প্রেম ভালোবাসার টানে হামেশাই প্রতিবেশি বাংলাদেশের সীমা টপকে ভারতে এসে পড়েন বহু প্রেমিক প্রেমিকা। সীমান্ত রক্ষীদের হাতে ধরা পড়লে তাঁরাই বাড়ির লোকজনকে ডেকে ‘নো ম্যানস ল্যান্ডে’ তুল্য জায়গায় শালিশি সভা বসান। কিন্তু ওদের রোখার সাহস কোথায়? কার আছে এতবড় বুকের পাটা।
হ্যাঁ ঠিক যেমন করে প্রেমের টানে ভারতের সীমান্ত টপকে ছুটে আসেন বাংলাদেশের প্রেমিক, এবার তেমন করেই সঙ্গিনীর খোঁজে বাংলাদেশের সুন্দরবন অংশ থেকে ভারতে ঢুকে পড়ল কয়েকটি পুরুষ বাঘ।
সঙ্গিনী যদি বাঘিনি হয়, তাহলে বন দপ্তরের কর্তাব্যক্তিদের কপালে ভাঁজ পড়তে বাধ্য। কারণ মানবী সঙ্গিনীকে যদিও বা বকাঝকা করে বাড়ির লোকের হাতে তুলে দেওয়া যায়, বাঘিনিকে বোঝাবে কে?
ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের বনবিভাগ জানিয়েছে –বর্তমানে সুন্দরবনের বাংলাদেশের অংশে স্ত্রী বাঘের অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সেকারণেই কয়েকটি ‘বাংলার বাঘ’ ভারতে ঢুকে পড়েছে বাঘিনির খোঁজে।
মানুষের বানানো আইন নিয়ে এও বুঝি এক প্রকৃতির খেলা! মাসে অন্ততপক্ষে দুটি খবর মেলে, যেখানে প্রেমিক প্রেমিকার মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়ায় সীমান্তের কাঁটাতার। কিন্তু বাঘ ঢুকলে তার বেলা? প্রশ্নটির উত্তর আপাতত কারোর কাছেই নেই।
তবে বন দপ্তরের মতে বাংলাদেশ থেকে আসা বাঘ আবারো সেখানে ফিরে যেতেই পারে। কারণ বাঘ তো দল বেঁধে থাকতে পছন্দ করেনা। সুতরাং ভারতীয় বাঘিনি পার্টনারের সাথে লিভ ইনের এই সময়টুকু তাই মেনে নেওয়া ছাড়া পাহারাদারদের আর কোনও উপায় নেই।