গত বুধবারই রাশিয়া দাবি করেছিল এখনও প্রচুর ভারতীয় পড়ুয়া ইউক্রেনের কব্জায় রয়েছে। ইতিমধ্যেই ‘অপারেশন গঙ্গার’ মাধ্যমে ইউক্রেনের প্রতিবেশি দেশগুলি থেকে পড়ুয়াদের উদ্ধারকাজ শুরু করে ভারত। তারই মধ্যে ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাস এক নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়, খারকিভ ছাড়ার সত্বর ব্যবস্থা নিতে হবে, কেননা রাশিয়া খারকিভে হামলা করেছে।
উল্লেখ্য এখানেই এক ভারতীয় পড়ুয়া বিস্ফোরণে নিহত হয়।
অপরদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাথে টেলি কনফারেন্সে রাশিয়া জোরের সাথে দাবি করে বলে, খারকিভ এখনও ভারতীয়মুক্ত নয়, খারকিভে বেশকিছু পড়ুয়াকে পণবন্দী করে রাখা হয়েছে। যদিও এই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে ভারত।
আজ নিয়ে তৃতীয়বার রাশিয়া দাবি করল, পূর্ব ইউক্রেনের খারকিভে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী প্রায় ৩ হাজার ভারতীয় পড়ুয়াকে পণবন্দী করে রেখেছে। যদিও এই বিষয়ে প্রমাণগ্রাহ্য কোনও তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী। তিনি বলেন, ‘এইমূহুর্তে ২ হাজার ভারতীয় নাগরিক পূর্ব ইউক্রেন সীমান্ত থেকে ৪০-৬০ কিলোমিটার দূরত্বে বাসের মধ্যে রয়েছেন ফেরার অপেক্ষায়।’ এদিন রাশিয়ার দেওয়া তথ্যকে ভুল বলে স্পষ্টতই জানান তিনি।
অরেন্দম বাগচী বলেন, “আমরা গতকালই এক বিবৃতি দিয়েছি। আমি আবারো স্পষ্ট করে বলছি, কোনও ভারতীয়কে পণবন্দী করার কথা আমার জানা নেই। কিছু জায়গায় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবার ভয়ে তাঁদের বের হতে সমস্যা হচ্ছে ঠিকই, সুমি এবং খারকিভে এমনটা হচ্ছে। তবে কাউকে পণবন্দী করে রাখার কথা জানা যায়নি।”
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সূত্র অনুযায়ী এক ভারতীয় সেনা অধিকর্তা জানিয়েছেন, “কিছু ক্ষেত্রে ইউক্রেনীয় আধিকারিকরা অসহযোগিতা করলেও কাউকে পণবন্দী করে রাখার বা ইচ্ছার বিরুদ্ধে আটকে রাখার মতো খবর আমরাও পাইনি।”
তাহলে বারংবার এই দাবি কেন রাশিয়ার? প্রশ্ন উঠছে।