অবশেষে হরিদ্বার বিদ্বেষী বক্তব্য মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর হলো ওয়াসিম রিজভির।
এই নামটি যদিও পুরোনো। বর্তমানে তিনি এই নামে পরিচিত নন। ধর্মান্তরিত হবার পর তাঁর নতুন নাম হয় জিতেন্দ্র নারায়ণ সিং ত্যাগী। ইনি নিজের ধর্ম ইসলাম পরিত্যাগ করে হিন্দুধর্ম গ্রহণ করেন, শুধু তাই নয়, হরিদ্বারের ধর্মসংসদে মুসলিম নিধনের মতো চরম বিদ্বেষমূলক বক্তব্য রাখেন। যে কারণে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়।
উত্তরপ্রদেশের শিয়া ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন ওয়াসিম রিজভি। পরে হিন্দুধর্ম গ্রহণ করে জিতেন্দ্র নারায়ণ সিং ত্যাগী নাম গ্রহণ করেন।
স্বামী নরসিংহানন্দের পৃষ্ঠপোষকতায় গত বছর ১৭ থেকে ২০ ডিসেম্বর হরিদ্বারে আয়োজিত তিনদিনব্যাপী ধর্ম সংসদের ভরা সভায় হিন্দুদের হাতে হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন জিতেন্দ্র।
এই সভায় নরসিংহানন্দ ছাড়াও সাধ্বী অন্নপূর্ণা ও গাজিয়াবাদ দশনা মন্দিরের মহেন্দ্র দাস সহ বেশকয়েকজন সাধুসন্ন্যাসী অংশ উপস্থিত ছিলেন। এই সভাতেই ভাষণ দিতে গিয়ে জিতেন্দ্র নারায়ণ সিং ত্যাগীর বক্তব্যে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের খুনের প্রকাশ্য ইন্ধন তার বক্তব্যে ফুটে ওঠে। যার ভিডিও সোশ্যাল মাধ্যমে ছড়াতেই ভাইরাল হয়ে যায়। সংগঠিত হয় প্রতিবাদ আন্দোলন। এর ফলে পুলিশ জিতেন্দ্র নারায়ণ সিং ত্যাগীকে গ্রেপ্তার করে।
গত ১৩ জানুয়ারি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ওয়াসিম রিজভি ওরফে জিতেন্দ্র নারায়ণ সিং ত্যাগী। হরিদ্বার জেলে বন্দী থাকাকালীন জিতেন্দ্রর আইনজীবি সুপ্রিমকোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন। সহজে এই জামিন মঞ্জুর হয়নি। কেননা ধর্মসংদের মতো হিংসাত্মক ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী সভা নিয়ে আইনবিভাগ রীতিমতো চিন্তিত।
তবে আইনজীবি সিদ্ধার্থ লুথরা সম্প্রতি জিতেন্দ্রর শারিরীক অসুস্থতার কথা জানিয়ে জামিনের অনুরোধ জানালে অবশেষে এদিন জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।