বেতাল নাকি মহারাজের কাঁধে চেপে ২৫ কাহন শুনিয়েছিলেন। প্রশ্নের উত্তর না পেলেই ঘাড় মটাং মটকে মৃত্যু! এবারের নির্বাচনী প্রচারে মণিপুরে গিয়ে তেমন করেই লাকি ২৫ আচ্ছে বৎসর-এর ভাষণে মঞ্চ কাঁপালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রশ্নের কোনও প্রশ্নই ওঠেনা, উত্তর তো দূরঅস্ত। তবে এক্ষেত্রে রাহুল গান্ধীকেই রাজা বিক্রমাদিত্যর সাথে তুলনা করছেন অনেকে।
“এই নির্বাচন মণিপুরের ২৫ বছরের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দেবে।” মঙ্গলবার ইম্ফলের এক প্রচার সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি আরো বলেন, “গত ৫ বছরে বিজেপি এখানে শুধু উন্নতিই করেনি, সেখানে শান্তিও ফিরিয়ে এনেছে।” শাসনের উৎকৃষ্ট পরিকাঠামোর উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সুশাসন তো আপনারা নিজেরাই দেখছেন। মাত্র ৫ বছর কাজ করে আমরা আগামী ২৫ বছরের ভিত বানিয়েছি।”
এরপরেই কটাক্ষ ছোঁড়েন পূর্বতন কংগ্রেস সরকারর দিকে।
“টানা কয়েকদশক মণিপুরে ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেসের। তারা শুধুমাত্র বৈষম্য ছড়িয়েছে। বনধ, অবরোধকে এখানকার বৈশিষ্ট্য বানিয়ে তুলেছিলো। কিন্তু বিজেপি এরাজ্যের মানুষকে বনধ অবরোধ থেকে মুক্তি দিয়েছে।”
মুখ্যমন্ত্রীর কৃতিত্বের কথা সবিস্তার বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী জানান কীভাবে এখানকার যুবকেরা অস্ত্র ছেড়ে কর্মে নিয়োজিত হয়েছে। ‘এমপি আবাস যোজনা’য় মানুষজনের পাকাবাড়ি, ‘হর ঘর জল” প্রকল্পে তিন লক্ষ বাড়িতে জল পৌঁছে দেবার দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন নরেন্দ্র মোদী। এছাড়াও মণিপুরের উন্নত রেল সংযোগের কাজ আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে মানুষের সমর্থন প্রত্যাশা করে প্রধানমন্ত্রী বারংবার আগামী ২৫ বছরের ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দিয়েছেন।
এই ‘পঞ্চবিংশতি’ বর্ণনার চাপ সহ্য করতে না পেরে রাহুল গান্ধী একটি কথাই শুধু বলেছেন, “বিজেপি ও আরএসএস কোনওদিনই মণিপুরের মানুষকে সম্মান জানায়নি।” প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বিপুল জয়ধ্বনিতে রাহুল গান্ধীর বাকি কথা চাপা পড়ে গিয়েছে বলেই মনে করছেন মানুষজন।