বারাণসীতে হিন্দু-মুসলিম পিঠোপিঠি বাস। তাই তো কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের পাশাপাশি উচ্চারিত হয় জ্ঞানবাপী মসজিদের নাম। মসজিদের পিঠ ছুঁয়ে দাঁড়িয়ে দেবী শ্রিংগার গৌরীর মন্দির। যেন একেবারে অবিচ্ছেদ্য সহাবস্থান। তবে সম্প্রতি এই সম্পর্কে ফাটল ধরাতে চাইছে কোন অদৃশ্য বিচ্ছিন্নতাবাদ। এই বিভেদ বিতর্ক শুরু হয়েছিল দেবী শ্রিংগার গৌরীর পূজোর অনুমতি চাওয়ার মাধ্যমে। এই বিতর্ক তেমন দানা বাঁধেনি। শুরু হয় নতুন বিতর্ক।
মসজিদের জলাশয়ে শিবলিঙ্গ আবিস্কার এই সাম্প্রতিক বিতর্ক খুঁচিয়ে তুলেছে। হিন্দুপক্ষের দাবি শিবলিঙ্গ হলেও মুসলিমরা জানাচ্ছেন এটা শিবলিঙ্গ নয়, ওজুখানায় নির্মিত একটি ঝর্ণা। এপর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট নির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্তে না পৌছলেও, মামলায় স্থগিতাদেশ দেবার আগে বলেছে, ‘উল্লিখিত বস্তুটি শশিবলিঙ্গ হলে মসজিদ ও শিবলিঙ্গ দুটিকেই সংরক্ষিত করতে হবে।’
অপরদিকে জ্ঞানবাপী মসজিদ এলাকার এক সাধারণ মুসলিম অটো পার্টস ব্যবসায়ী মনসুর কাসিম একটি বৃহত্তর সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, “মন্দির-মসজিদ ইস্যু ব্যবসায় খুব খারাপ প্রভাব ফেলেছে।”
স্থানীয় দোকানদারদের মুখপাত্র হিসেবে মনসুর বলেছেন, “আদালতের নির্দেশ যাই হোক, আমরা তা মেনে চলব। বাবরি মসজিদের ব্যাপারে যা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তা মানা হয়েছে। আমি আপনাকে প্রশ্ন করছি, এটা কতটা যুক্তিযুক্ত?”
তিনি উল্টে সংবাধ্যমের ক্যামেরাকেই প্রশ্ন করেছেন। আসলে এই প্রশ্ন সমস্ত মানুষের দিকে। শিবলিঙ্গ সম্পর্কে যৌক্তিকতার প্রশ্ন তুলে মনসুর পাল্টা যুক্তি দিয়েছেন, “এখন মসজিদে একটি শিবলিঙ্গ পাওয়া গেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। বাড়ির ভিতরে শিবলিঙ্গের আকৃতির অনেক স্থাপত্য রয়েছে। তাই এই সব জিনিসকেই শিবলিঙ্গ হিসাবে বিবেচনা করা উচিত!”