নব্বই দশকের উত্তাল কাশ্মীরকে মনে আছে? হ্যাঁ সেই ত্রস্ত সময়েই নরেন্দ্র মোদী সন্ত্রাসবাদীদের চ্যালেঞ্জ বুক পেতে গ্রহন করেছিলেন। এই প্রজাতন্ত্র দিবসে ‘দেশ গুজরাট’-এর ইউটিউব চ্যানেলে শেয়ার করার পর ভাইরাল হচ্ছে ১৯৯১ সালে কাশ্মীরের সন্ত্রাসীদের উদ্দেশ্যে নরেন্দ্র মোদীর সেই হুঙ্কার।
১৯৮৯ সাল থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ ব্যাপক আকার নেয়। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তাণ্ডবে অস্থির হয়ে উঠেছিল শ্রীনগরের লালচক। সেইসময়ে ঝামেলার আঁচ পেলেই প্রশাসনিক তৎপরতায় লালচক ঘিরে ফেলা হত। সাধারণ পর্যটক কাশ্মীরে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে সাতবার ভাবতেন। যদি আর প্রাণ নিয়ে ফিরতে না পারেন!
অস্থির সেই সময়ে দাঁড়িয়ে আজকের প্রধানমন্ত্রী, তৎকালীন পূর্ণ যুবক নরেন্দ্র মোদী গনগনে ভাষায় সন্ত্রাসবাদীদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছিলেন। সম্প্রতি ২৬ জানুয়ারি, ৭৩তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে লালচকে উত্তোলিত হয়েছে ভারতের জাতীয় পতাকা। আর সেই সঙ্গে ভাইরাল হয়েছে ১৯৯১ সালে নরেন্দ্র মোদীর সেই আগুন ঝরা বক্তৃতার ভিডিও। উঠে আসছে সেইসময়ের কিছু ছবিও।
ভিডিওতে হিন্দি ভাষায় নরেন্দ্র মোদীর দৃপ্ত কন্ঠস্বরে শোনা যাচ্ছে, “লালচকে পোস্টার সাঁটা হয়েছে। যে মায়ের দুধ পান করেছে, সে যেন শ্রীনগরের লালচকে আসে। এখানে এসে ভারতের তিরঙ্গা পতাকা উত্তোলন করুন! যদি তিনি জীবিত ফিরতে পারেন, তবে সন্ত্রাসবাদীরা তাকে পুরস্কৃত করবে।”
সন্ত্রাসবাদীদের হুমকির পোস্টারের উল্লেখ করেই এরপর নরেন্দ্র মোদী জনসাধারণের উদ্দেশ্যে বলছেন, “২৬ জানুয়ারি আর মাত্র কয়েক ঘন্টা বাকি। লালচকে কে মায়ের দুধ পান করেছে তা দেখিয়ে দেওয়া হবে।”
এরপরেই এসেছিল সেই ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণ। ১৯৯১ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসে এই বক্তৃতার পরেই তা বাস্তবায়িত করে দেখিয়েছিলেন যুবনেতা নরেন্দ্র মোদী।
সন্ত্রাসীদের হুমকি আর লালচক্ষু উপেক্ষা করে মুরলী মনোহর যোশীর সাথে ওই শ্রীনগরের লালচকেই তিরঙ্গা উত্তোলন করেছিলেন। প্রাণ যেতেই পারত বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর। তবে সেদিন এই নামটাতেই থমকে গিয়েছিল সন্ত্রাসীরা। ভারতের তিরঙ্গা লক্ষ্য করে আগ্নেয়াস্ত্র তুলতে গিয়ে কি কেঁপে গিয়েছিল সন্ত্রাসবাদীদের হাত!
এইবছর সম্পূর্ণ স্বাধীন চেতনা নিয়ে ওই শ্রীনগরের লালচকের ঘন্টাঘরেই আরো একবার উত্তোলিত হয়েছে ভারতের জাতীয় পতাকা। সেই সুবাদেই লালচক আরেকবার স্মরণ করল নব্বই দশকের সেই দিনটাকে। ‘দেশ গুজরাট’-এর শেয়ার করা সেই পুরোনো ভিডিওয় তারই প্রতিফলন।